হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ: বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তি কি বাতিল হবে?
ঈদের জামাত নিয়ে যে ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: মরণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে যাবতীয় গণজমায়েত বন্ধ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে মসজিদে গিয়ে জামাত এবং জুমার নামাজেও উপস্থিতি একেবারে সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়া যাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ বাংলাদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
এই যখন অবস্থায় তখন আজ সোমবার ঈদুল ফিতরের নামাজের নামাজ না হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৮ জেলার ডিসি, চিকিৎসক ও অন্যান্য প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার সময় এ ইঙ্গিত দেন তিনি।
আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী যখন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তখন সেখানকার পুরাতন কালেক্টরেট মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানকার শোলাকিয়া ঈদগাহে তো দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হয়। এবার তো আমরা হয়তো জামাত করতে পারবো না। এবার আমরা ঈদের নামাজও তো করতে পারব না। সেজন্য ওনার কাছ থেকে একটু শুনি।’
এর আগে ভিডিও কনফারেন্সে রমজানে তারাবির নামাজ ঘরে পড়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে কখন কীভাবে সংক্রমিত হবে তা বলা যায় না। এ জন্য আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা মেনে ঘরে বসে নামাজ পড়ার কথা বলছি। ঘরে নামাজ পড়লে নিশ্চয়ই আল্লাহ ডাক শুনবেন।
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকেই ঘরে বসে নামাজ পড়েন। এই মহামারি থেকে বাংলাদেশের মানুষ যাতে রক্ষা পায়- সেজন্য দোয়া করেন। দেশের মানুষ যাতে বাঁচতে পারে, সেটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।
এদিকে, ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়ে মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তাকে (প্রধানমন্ত্রী) বিশ্বনেতা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.) যেমন মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে দিনরাত কাজ করতেন। তেমনি আপনি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বিরামহীনভাবে কাজ করছেন। আপনিও দেশের মানুষকে সুখী ও শান্তিতে রাখতে সবসময় চিন্তা ও চেষ্টা করছেন।