ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ: ফিলিস্তিন ইস্যুতে তীব্র প্রতিবাদ ও ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা

জামায়েত ইসলামের প্রতিবাদ

প্রতিবেদকঃ শাকিলা পাতা এসপি 

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের নেতা ড. রেজাউল করিম ইসরায়েলকে “সন্ত্রাসী রাষ্ট্র” আখ্যা দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধান বক্তব্য:
ইসরায়েলের নিন্দা: ড. রেজাউল করিম বলেন, “ইসরায়েল গাজায় নারী ও শিশু হত্যার মাধ্যমে বর্বরতার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এটি একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র, যা বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
মুসলিম বিশ্বকে আহ্বান: তিনি বলেন, “গণহত্যা বন্ধ না হলে বিশ্বের মুসলমানদের ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। গাজার দিকে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ মার্চ শুরু করতে হবে।”
তরুণদের প্রতি নির্দেশ: জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ইসরায়েল বয়কট এবং ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকা: জাতিসংঘ ও ওআইসিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার দাবি করা হয়।

বিক্ষোভের প্রেক্ষাপট:
গাজার চলমান সংঘাতে হাজারো ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে প্রতিবাদ চলছে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন ইসরায়েলের নিন্দা ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে বিক্ষোভ করছে।

আন্তর্জাতিক প্রভাব:
এ ধরনের বক্তব্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে সংবেদনশীল প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশ সরকার সাধারণত ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমর্থন জানালেও সহিংসতার উস্কানি এড়িয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান নেয়।

সম্ভাব্য পরিণতি:
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর চাপ বাড়তে পারে।
জামায়াতের বক্তব্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রভাবিত করতে পারে।
তরুণদের মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যা সামাজিক মাধ্যম ও রাস্তায় বিক্ষোভে রূপ নিতে পারে।

সর্বশেষ অবস্থা:
ফিলিস্তিনি সংহতিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন ভবিষ্যতে আরও বড় আকার নিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।