হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ: বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তি কি বাতিল হবে?
আত্ন-সচেতনতা ও সহানুভূতি প্রদর্শনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে
মোঃ হাবিবুর রহমান:
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এমন একটি ভাইরাস যা প্রাথমিকভাবে একটি প্রাণী থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে এ মহামারি ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার মাধ্যমে প্রসারতা লাভ করছে। পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির করোনাভাইরাস রয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। এর মধ্যে যে সাতটি ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে-তার মধ্যে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) অন্যতম।
এ ভাইরাসে আক্রান্তে ব্যক্তির ফুসফুস প্রাথমিকভাবে সংক্রমিত হয়। ক্রমান্বয়ে সে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। শ্বাসতন্ত্র এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ আসার মাধ্যমে যে কেউ এ ভাইরাসে (পজিটিভ) আক্রান্ত হতে পারে। এ ভাইরাস কোন ব্যক্তির শরীরে প্রবেশের পর এ রোগের লক্ষণ দেখা দিতে ২-১৪ দিন সময় লেগে যেতে পারে। এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণসমূহের মধ্যে জ্বর, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কথা সর্বজন বিধিত যে, কোভিড-১৯ রোগের জন্য এখনো পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট ঔষধ ও রোগ প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, ডাক্তার, গবেষক ও ঔষধ কোম্পানি এর প্রতিষেধক টিকা ও ঔষধ আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে প্রতিষেধক বিভিন্ন সংরঞ্জাম আবিষ্কার করলেও তা পরীক্ষাধীন অবস্থায় রয়েছে। তাই এ মূহুর্তে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে এ মহামারী থেকে কিছুটা পরিত্রাণের পাওয়া সম্ভব।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি-এর মতে, জনসাধারণের জন্য করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধের প্রাথমিক উপায় হলো- কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। এছাড়াও উপরিভাগে রোগ জীবানু সম্পর্কিত বস্তু থেকে সাবধান ও পরিষ্কার থাকা। পাশাপাশি নিয়মিত ও সঠিক সময়ে পানি দিয়ে সাধারণ সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড অতিবাহিত করে হাত ধৌত করা অথবা ৬০% অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা (সিডিসি-এর মতে ৭০%)। এ সময়ে কেউ সুস্থ হলে বাসায় অবস্থান করা ও জ্বর হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কর্মক্ষেত্রে বা কাজে যোগদান না করা। ক্বফ বা হাঁচি আসলে টিস্যু ব্যবহার করা এবং পরে হাত পূর্বের নিয়মানুযায়ী ধৌত ও শুষ্ক করা। তাছাড়া ফ্লু-জনিত কোন রোগের উপসর্গ দেখা দিলে প্রফেশনাল ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়া।
সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন)-এর মতে, এ রোগ থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো-এ ভাইরাস বিস্তার রোধ করা। কোভিড-১৯ মূলত ৬ ফুট দূরত্বের মধ্যে আক্রান্ত মানুষের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত কোন ব্যক্তির কথা, ক্বফ, হাঁচি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ফোঁটা ছড়ানো মাধ্যমে নিকটবর্তী যে কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। আশে পাশের যে কারো নাক, মুখ ও শ্বাসযন্ত্রের নিঃশ্বাসের মাধ্যমেও সংক্রমিত হতে পারে। এছাড়াও কিছু গবেষণায় এটা পরিলক্ষিত হয়েছে যে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তির রোগের উপসর্গ নির্দিষ্ট সময় ধরে দেখা নাও দিতে পারে। এমতাবস্থায় কোন পাবলিক স্থান অতিক্রম করার পর নিয়মানুযায়ী হাত ধৌয়া এবং ভালভাবে তা শুকিয়ে নেয়া। অন্যদিকে অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ না করা। বাসার বাইরে যাওয়ার পূর্বে মুখ, নাক কোন সার্জিকেল মাস্ক বা কাপড় দিয়ে ঢেকে যাওয়া। উল্লেখ্য যে, যে সকল শিশু ২ বছরের ছোট এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাজনিক ব্যক্তি, অচেতন ও মাস্ক লাগাতে এবং খুলতে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য মাস্ক ব্যবহার করা উচিত নয়। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ধরনের মাস্ক (এন-৯৫) তা সাধারণ মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়। পারস্পারিক ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলা, হাঁচি দেয়ার প্রাক্কালে তা কনুই দিয়ে ঢেকে দেয়া যাতে অন্য কারো গাঁয়ে কোন ছিটা গিয়ে না পড়ে। ক্বফ বা কাশির জন্য ব্যবহৃত টিস্যু বদ্ধ বিনে ফেলা, এবং পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী আবার হাত ধৌত করা। তাছাড়া গৃহের টেবিল, দরজার হাতল, লাইট ও ফ্যানসহ বিভিন্ন সুইট, বিভিন্ন হ্যান্ডল, ডেস্ক, ফোন, কি-বোর্ড, টয়লেট, চুঙ্গি বা কল, এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়মিত পরিষ্কার করা অথবা সাবান/ডিটারজেন্ট বা অ্যালকোহল দিয়ে পরিষ্কার করা। অন্যদিকে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন এবং সুস্থ্য ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে (হু বা আইইডিসিআর-এর পরামর্শ মোতাবেক) এমন কোন পথ অবলম্বন করবেন না।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞ, ও কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠা-এর পরামর্শ ও এ বিষয়ে গবেষণার ফলাফল মেনে চলা সাধারণ মানুষ ও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য একান্ত প্রযোজ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত হাত ধৌয়া। এছাড়াও সাধারণ মানুষ কোন অসুস্থ্য ব্যক্তি বা যার কাশি বা ক্বফ রয়েছে এমন ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে এক মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলা। পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর কর্মীর উপদেশ মেনে চলা।
সন্দেহজনক যে কোন রোগী অথবা এ রোগের কোন উপসর্গ দেখা দিলে বেশি করে পরীক্ষা করা ও করোনা পজিটিভ আক্রান্ত রোগীকে কোয়ারেন্টাইন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাখা খুবই দরকার। জার্মান সরকার এ পদ্ধতি অবলম্বন করে সংক্রমণ রোধ ও মৃত্যুহার কমিয়ে রাখছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম দাবি করেছে। এ ছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির বসবাসের স্থান, এলাকা লকডাউনের ব্যবস্থা করা। এতে করে এ মহমারীর ক্ষয়-ক্ষতি ও আক্রান্তের হার কমানো সম্ভব হবে। হোম কোয়ারেন্টাইন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন এবং লকডাউনের মাধ্যমে এ প্রাদুর্ভাব আরো কমানো সম্ভব। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন সব ধরনের খাবার গ্রহণ করা যেমন বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার, কাঁচা হলুদ, ঘি, মধু, কালো জিরা খাওয়া। এছাড়াও গরম পানি দিয়ে গারগল করা, বাসায় বানানো মশলা চা ও নিয়মিত পানি করার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলে অনেক চিকিৎসক ও গবেষণার ফলাফলে দাবি করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত অসচেতনতা, প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতা, কোভিড-১৯ প্রতিরোধের বিভিন্ন বিধি-নিষেধ অমান্য করলে আমাদেরকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে, যা ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দিকে তাকালেই দেখতে পাই। চলমান অঘোষিত লকডাউন (সরকারি বিভিন্ন দিক নির্দেশনা) কর্মসূচির বাস্তবায়নে অবহেলা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের জন্য প্রযোজ্য সরকারি ছুটির সমন্বয়হীনতা দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় থাকা একান্ত আবশ্যক। তা না হলেও জনদুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি মহামারী প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। যা মোকাবেলা করা আমাদের মত দেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
বর্তমানে জরুরি বিভাগে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, প্রশাসন, ডাক্তার, পুলিশ, সেনাবাহিনী, স্বেচ্ছাসেবীকর্মী, মিডিয়াকর্মী ও নার্স এ মহামারীতে মূল সৈনিকের ভূমিকা পালন করছে। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বীরের মর্যদা ও তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন। তাঁদের এ মহৎ কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে প্রশংসা ও বাহবা পাওয়ার দাবিদার। অতীতে তাঁদের কর্মকাণ্ড ও কার্যক্রমকে বিশ্লেষণ না করে বর্তমান বাস্তবায়িত চলমান ভূমিকাকে পর্যালোচনা করা ও সম্মান দেখানো একজন সুনাগরিক হিসেবে আমাদের মূল দায়িত্ব। ইতালি, স্পেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ড থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে যাতে উপর্যুক্ত পেশার মানুষগুলো ও প্রশাসনিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। কারণ তাঁদের সার্বিক নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে চলমান এ মহামারীর ক্ষয়-ক্ষতি এড়ানো অনেকাংশে সম্ভব। এ জন্য এ যুদ্ধক্ষেত্রে অচেনা ও লুকানো শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করা উচিত। যাতে তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত ও সংক্রমণ এড়াতে পারে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় সমাজের বিত্তবান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের চলমান কার্যক্রম নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। তবে এ কার্যক্রমকে দয়া ও দাক্ষিণ্য না ভেবে Empathy (সহানুভূতি) হিসেবে বিবেচনা করা যুক্তিযুক্ত। এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সহানুভূতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মূলত আমরা নিজেদেরকে সহযোগিতা করছি। কেননা তাঁরা আক্রান্ত হলে আমাদের সার্বিক কর্মকাণ্ড স্থিমিত হয়ে যাবে এবং আমরাও এ মহামারী থেকে পরিত্রাণ পাবো না। অন্যদিকে বাসায় খাবার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকলে তাঁদেরকে বাসায় বা হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব না। এছাড়াও এ ত্রাণ সহায়তা ও সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর জন্য সব ধরনের সহযোগিতামূলক কার্যক্রম সমন্বয় সাধন করে পরিচালনা করা প্রয়োজন। যাতে করে এ বিতরণ কার্যক্রমে কোন অস্বচ্ছতা, স্বজনপ্রীতি, একই স্থানে একাধিকবার বিতরণ ও প্রকৃত মানুষের কাছে ত্রাণ না যাওয়া ইত্যাদি অসমাঞ্জস্যতাগুলো এড়ানো সম্ভব হয়।
এ মহাবিশ্বের মধ্যে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্র ও নক্ষত্র রয়েছে। তার মধ্যে পৃথিবী নামক গ্রহেই মানব মানবীর বিচরণ ও কলরোবে মুখরিত থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে আজকে তা থমকে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষের বিচরণ ও পদচারণা কম থাকাতে আশে-পাশের পরিবেশ নতুনরূপে সেজেছে। মানুষকে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ্যের দেশ। ইসলাম একটি মর্ডান ও সর্বোত্তম জীবন ব্যবস্থার নাম। তাই কোন মুসলিমের জন্য এটা উচিত হবে না যে তাঁর মাধ্যমে অপর কেউ আক্রান্ত হোক। অথবা তাঁর কোন গোঁড়ামী চলাফেরা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অপরকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলা। নিজের ভাল সবাই বুঝে। তাই আমাদের উচিত এ মহামারী থেকে পরিত্রাণ পেতে চোখ কান খোলা রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা ও স্বাস্থাবিধি মেনে চলার মাধ্যমে এ সংকট মোকাবেলা করা। ভাইরাস ছাড়া পৃথিবী কল্পনা করা যায় না। সতুরাং অসুখ প্রতিকারের চেয়ে অসুখ যাতে না হয়- সেই চেষ্টাই করাই একান্ত প্রয়োজন।
তাই আমাদের কোন রকম অসচেতনতা, খামখেয়ালি আচরণের মাধ্যমে এ পৃথিবী জন মানব শূন্য হোক তা আমাদের কারো কাম্য নয়। সামান্য কয়েকদিনের জন্য সচেতনতামূলক ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধের দিক-নিদের্শনা না মানলে আমাদের জন্য অনেক নেতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, করোনাভাইরাস আমাদের দেশকে চীনের মত প্রথমেই আক্রান্ত করেনি। কিন্তু করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের উদাহরণ ও পরামর্শ মেনে না চললে- তাঁদের মত আমাদের সেই পরিমাণ সামর্থ্য নেই তা মোকাবেলা করার। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর বলেছেন, নগর পুড়িলে কি দেবালয় এড়ায়? আমাদের ছোট একটি ভুলের কারণে মস্ত বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। সতুরাং আত্ন-সচেতনতা বৃদ্ধি, অন্যকে সচেতন করার মাধ্যমে ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের মাধ্যমে এ দুর্যোগ ও মহামারীর ক্ষয়-ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব বলে মনে করি।
লেখকঃ বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক