করোনা রোধে কী জরুরী? আইনের প্রয়োগ নাকি সচেতনতা?

মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ:

COVID-19 বা করোনা ভাইরাস নামক বৈশ্বিক মহামারীতে তাল মাতাল গোটা বিশ্ব। বিশ্বের প্রায় ২০২ টি দেশে ইতোমধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। ৪০ লাখের বেশী মানুষ আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ৩৫ হাজারের বেশী মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে এই বিষাক্ত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও বর্তমানে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের মানুষকে তা আক্রান্ত করছে। প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে এবং আক্রান্ত হচ্ছে এর বিষাক্ত ছোবলে। বাংলাদেশে এই রোগের প্রথম অস্তিত্ব পাওয়া যায় ৮ মার্চ। ২ জন ইতালী ফেরত প্রবাসী ও তাদের সংস্পর্শে আসা আরেকজনের নিকট থেকে। সরকারি হিসেবে দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯ জন। মারা গেছে ৫ জন। নতুন আক্রান্ত ১ জন (৩০ মার্চ পর্যন্ত)। সরকার গত ২৩ মার্চ এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সকল সরকারি-বেসরকারি, অফিস-আদালত, কল কারখানা, মার্কেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সব কিছু বন্ধ ঘোষণা করে কার্যত দেশকে লক ডাউন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে যার মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় আরো বাড়তে পারে।

সরকার এ রোগের বিস্তার থেকে রক্ষা পেতে আইন প্রয়োগ করে নাগরিকদের ঘরে রাখা সহ, খাবার সরবরাহ, ডোর টু ডোর চিকিৎসা সুবিধা, গরীবদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ সহ নানানরকম সহায়তা দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবং নিরাপদে বাসায় থাকার জন্য উৎসাহিত করছেন। সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও তরুণরা ইতোমধ্যে মানুষকে বিভিন্নভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিনা প্রয়োজনে বাহিরে বের হওয়া বা হোম করোন্টাইনে না থাকা বা আইসোলেশনে না থাকা ব্যক্তিদের গুনতে হচ্ছে জরিমানা, সাজা, বা কোথাও কোথাও পুলিশের লাঠিচার্জ। জনসাধারণের মাঝে এখনও আসেনি তেমন সচেতনতা। মানুষ বিভিন্নভাবে সান্ত্বনা পাওয়ার চেষ্টা করছে। কখনো বলা হচ্ছে বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন। আবার বলা হচ্ছে উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস খুব বেশি সক্রিয় থাকে না। বিভিন্ন তথ্য, নানা গবেষণা, নানা গুজবে মানুষ দিশেহারা হওয়ার জোগাড়। কেউ কেউ থানকুনিপাতা চিবাচ্ছে। কেউ মাইকে আজান দিচ্ছে। আধুনিক বিজ্ঞান থেকে ঝাড়ফুঁক-তুকতাক সবই চলছে। অনেকে অদৃষ্টবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। রাষ্ট্র যখন নাগরিকদের রক্ষার সুপরিকল্পনা দিতে ব্যর্থ হয়, যখন জনমনে রাষ্ট্রের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তখন নিয়তিবাদী হয়ে পড়ে মানুষ। সমাজে নানা গুজবও ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণকে একটি বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে। তবে করোনাভাইরাসের মতো সংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের দেশে আইন রয়েছে। শর্ত না মানলে রয়েছে জেল জরিমানার ব্যবস্থা। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮-এর ২৫ (২) বিধান মতে, কেউ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বাঁধা দিলে বা নির্দেশ পালনে অসম্মতি জানালে তাকে তিন মাস কারাদণ্ড, অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে। আর যদি যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য দেন তাহলে ওই ব্যক্তির অনুরূপ কাজ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তাকে অনূর্ধ্ব ২ (দুই) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। {ধারা:২৬(২)}। এছাড়া বাংলাদেশ দণ্ডবিধিতেও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে আইন রয়েছে। এ বিষয়ে দণ্ডবিধি আইনের ২৬৯, ২৭০ ও ২৭১ ধারায়ও স্পষ্ট বলা হয়েছে। কোন ব্যাক্তি যদি বেআইনিভাবে বা অবহেলামূলকভাবে এমন কোন কাজ করে যার কারণে জীবন বিপন্নকারী কোন রোগ ছড়াতে পারে, এটা বিশ্বাস থাকার কারণ সত্ত্বেও এরুপ কোন কাজ করে তাহলে সে অনধিক ছয়মাস সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। (ধারা ২৬৯) কোন ব্যাক্তি যদি এমন কোন বিদ্বেষমূলক কাজ করেন যার কারণে সংক্রমন রোগের বিস্তার লাভ করতে পারে বিশ্বাস করা যায়, যেমন সরকার যদি কাউকে কোয়ারেন্টিনে যেতে বলেন সে যদি না যায় বা বাড়িতে অবস্থান, এবং তার ফলে অন্য কোন ব্যাক্তি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ঐ ব্যাক্তি অনধিক দুইবছর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। (ধারা ২৭০)

কোনস্থান সংক্রমন ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হয়, যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের উপর কোয়ারেন্টিন আরোপ করে এবং তার জন্য কোন আইন বা বিধান প্রণয়ন করে কোন ব্যাক্তি যদি সেই বিধান জ্ঞাতসারে অমান্য করে যেমন সরকার যাদেরকে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে তারা যদি কোয়ারেন্টিনের কোন বিধান অমান্য করে যার দ্বারা সংক্রমন বিস্তার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ঐ ব্যাক্তি অনধিক ছয়মাস কারাদন্ড বা অঅর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন (ধারা ২৭১)।

বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা ভ্রাম্যমান আদালত আইনের প্রয়োগ সাজা, জরিমানা বা শাস্তি দেয়া শুরু করেছে। এর হেনস্তার শিকার বেশির ভাগই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এরা মুটে–মজুরে। বাসায় তাদের পেট ভরে না। তারা ঘর থেকে বের হয়। এরা বাজারে যায়। এরা কাজের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় যায়। এরা রিকশা চালায়। এরা আপনার বাসাবাড়িতে কাজ করে। কাজ না থাকলে এদের খাবার জোটে না। এরাই ঘর থেকে বের হতে বাধ্য হচ্ছে। ঢাকা ছাড়তে চায় বাধ্য হয়ে। কারণ, মাস শেষেই এদের ভাড়া গুনতে হয়। এই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত রাষ্ট্রের কৌশলী আচরণের ফাঁদে পড়েছে। সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। অফিস–আদালতও বন্ধ। ঘরে থাকার জন্য বলা হয়েছে। রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ওয়ার্ড কমিশনারের নামে মাইকিং করে ঘরে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সরকারিভাবে লকডাউনের ঘোষণা আসেনি। কারণ, লকডাউন করলে নাগরিকদের দায়দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্ন আসে। জার্মানির দুটি রাজ্যে লকডাউন করা হয়েছে। ইতালি ও ফ্রান্সে অনেক আগেই লকডাউন করা হয়েছে। এসব দেশে রাষ্ট্রের তরফে বলা হয়েছে, বাসাভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, সব মওকুফ করা হবে। প্রয়োজনে খাবার সরবরাহ করা হবে। জার্মানিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কারখানা বন্ধ রাখলে শ্রমিকদের বেতন সরকার দিয়ে দিচ্ছে।

আমাদের দেশে কি এভাবে নাগরিকদের দায়দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব? আমাদের সেই সাধ্য নেই। বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল দেওয়ার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মওকুফ করা হয়নি। দুর্নীতি, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার, অতিরিক্ত রাষ্ট্রীয় ব্যয় আমাদের অর্থনীতিতে দুর্বল করে দিয়েছে। উন্নয়নের নানা বুলি শোনানো হয় বটে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বলা হয়ে থাকে, টাকার সংকটে আছে সরকার। তাই আমাদের পক্ষে কয়েক মাস বসিয়ে খাওয়ানো সম্ভব না। সরকারের তরফে স্বল্পমূল্যে খাবার সরবরাহ করলেও ঝামেলা আছে। বাজার থেকে অতিরিক্ত মূল্যে কিনে দরিদ্রদের মধ্যে সরবরাহ করতে হবে। নতুবা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট খেপে উঠবে। এমনিতেই পণ্যের মূল্য বেড়েছে। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে দেখা যায় না। একদিকে শহরে জিনিসের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে গ্রামে কৃষকেরা ফসলের দামই পাচ্ছে না। আর্থিক সংকট ও মুনাফাভোগী সিন্ডিকেটের কারণে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হচ্ছে না। এ কারণেই সরকার লকডাউনও ঘোষণা করছে না। আবার ঘর থেকে বের হতেও দিচ্ছে না। লকডাউন করে ঘরে রাখলে সহায়তা দিতে হবে। বের হতে দিলে বিপদ হচ্ছে করোনা ছড়াতে পারে। তাই অঘোষিত লকডাউন চলছে। এতে দায়িত্বও নিতে হচ্ছে না। আবার লোকজনকে ঘরে আটকে রাখা হচ্ছে কিছুটা ভয় দেখিয়ে। চাপ দিয়ে।

পোশাকশিল্পের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। এই অর্থ শ্রমিকদের হাতে কতটা যাবে, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় আছে।

অন্যদিকে দেশের মানুষ এও মনে করে, করোনা শনাক্তকরণে সরকার যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। অনেক আগ্রহী ব্যক্তি আইইডিসিআর এর সাথে যোগাযোগ করেও করোনা পরীক্ষা করাতে পারছেন না। রোববার সকালে চার হাসপাতালে করোনা সন্দেহে চিকিৎসা না পেয়ে মো. আলমাস উদ্দিন নামের এক মুক্তিযোদ্ধার করুণ মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। চিকিৎসা না পেয়ে অবশেষে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। (সূত্র: যুগান্তর, ৩০ মার্চ)

তার হয়তো করোনা হয়নি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। যত বেশি পরীক্ষা করা হবে, তত বেশি জনমনে আস্থা তৈরি হবে। দুশ্চিন্তা দূর হবে। শঙ্কা, ভয় থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু রাষ্ট্র নাগরিকদের আশ্বস্ত করতে পারছে না।
শুধু নাগরিকেরাই না, বিদেশিরাও রাষ্ট্রের পদক্ষেপে আস্থা রাখতে পারছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু নাগরিক কাল(আজ) সোমবার ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। বিশেষ একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের একটি অংশ বাংলাদেশ ছাড়বেন। (সূত্রঃ প্রথম আলো,২৯ মার্চ) বিদেশিরা কেন ঢাকা ছাড়ছে? তাদের নিজদের দেশে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা দুটোই অনেক বেশি। এরপরও বিদেশিরা ঢাকাকে নিরাপদ মনে করছে না। দেশের মানুষকে না হয় লাঠি মেরে, কান ধরিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু বিদেশিদের দেশ ত্যাগ ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে দেশের নাগরিকদের। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় লাঠিপেটা বা চাপ নয় বা আইন প্রয়োগ নয়, জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়েই এই পথ পাড়ি দিতে হয়। এর জন্য জরুরী দরকার সামাজিক সচেতনতা।

চীনের রোগ প্রতিরোধবিষয়ক সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ চায়নিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মহাপরিচালক জর্জ গাও সম্প্রতি সায়েন্স ম্যাগাজিনে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন (করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনের যেসব বিজ্ঞানী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, জর্জ গাও তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন) “যেকোনো সংক্রামক ব্যাধি থেকে বাঁচার প্রধান উপায় হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বিশেষ করে যাঁদের শ্বসনযন্ত্রে আগে থেকেই সংক্রমণ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি অনস্বীকার্য।” তিনি আরও বলেন, ” প্রথম কথা হলো যেহেতু আমাদের হাতে এই ভাইরাস দমনের কোনো ওষুধ বা টিকা নেই, সেহেতু আমাদের ‘নন–ফার্মাসিউটিক্যাল’ কৌশল বেছে নিতে হবে।

দ্বিতীয়ত, আপনাকে যে করেই হোক অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হবে। তৃতীয়ত, একজনের সঙ্গে আরেকজনের সংস্পর্শ এড়াতেই হবে। এটি নিশ্চিত করতে আমাদের ভীষণ বেগ পেতে হয়েছে। চতুর্থত, সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ করে দিতে হবে। পঞ্চমত, অবস্থা বুঝে সম্পূর্ণ লকডাউনে চলে যেতে হবে। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট এলাকা ঘেরাও করে সিল্ড করে দিতে হবে।”

আশার কথা, দেশে করোনা এখনো তেমন আঘাত হানতে পারেনি। রাষ্ট্রকে অতিমাত্রায় কৌশলী না হয়ে জনবান্ধব হতে হবে। নিজের সামর্থ্য নিয়ে রাখঢাক না করে সবাইকে নিয়ে এই মহাদুর্যোগ মোকাবিলায় সাহসী উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে দেশের নাগরিকেরা একবেলা, আধবেলা খাবে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশকে আগলে রাখবে। তবে এর জন্য রাষ্ট্রকে নাগরিকের বন্ধু হতে হবে। আর নাগরিকদেরও রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াতে হবে।

লেখকঃ আইনজীবী , বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট