হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ: বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তি কি বাতিল হবে?
তুলে নেওয়া হলো কড়াকড়ি, চলবে ব্যক্তিগত গাড়ি
নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কেউ যাতে ঈদের সময় ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যেতে না পারে, তাই মহাসড়কগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। কিন্তু এ ঘোষণার তিন দিন যেতে না যেতেই সিদ্ধান্ত বদল করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ। তবে শুধু ব্যক্তিগত গাড়িতেই যাতায়ত করতে পারবেন যাত্রীরা। গণপরিবহন চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার অনলাইনে সংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। আসন্ন ঈদুল ফিতর ও দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গৃহীত নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে এ মতবিনিময় সভা করা হয়।
সভায় র্যাব ডিজি বলেন, ঈদে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের মতো ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে গণপরিবহন আগের মতোই বন্ধ থাকবে। এগুলো চলাচলা বা যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে।
জনসমাগম এড়াতে কারফিউ দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে র্যাব ডিজি বলেন, তাদের মতে কারফিউ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো দেশে তৈরি হয়নি। সরকার জনগণের সকল দিকের কথা বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে জনগণ যেনো বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে পারে সরকার সে অনুমতি দিয়েছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র নিজস্ব যানবাহনেই চলাচল করা যাবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ঈদে যাতে মানুষ ঢাকার বাইরে যেতে না পারে, তাই গত ১৭ মে থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করে পুলিশ। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত এই কড়াকড়ি অব্যাহত রাখার কথা ছিল। কিন্তু তিন দিনের মাথায় আরোপিত কড়াকড়ি শিথিল করলো কর্তৃপক্ষ।