সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের তদন্তে র্যাবের বর্থতা, নতুন টাস্কফোর্স গঠনের আদেশ
নকল পণ্যে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে বেড়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা। বাংলাদেশও এ ব্যতিক্রম নয়। তবে এ চাহিদার সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকার এক দল অসাধু ব্যবসায়ী তৈরি করছেন নকল মানহীন স্যানিটাইজার ও স্যাভলন।
মিটফোর্ডের ক্যামিকেল দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ইথানল-মিথানল অ্যালকোহলের সঙ্গে ইচ্ছেমতো কাপড়ের রঙ মিশিয়ে তৈরি করছেন মানহীন স্যানিটাইজার ও স্যাভলন। এমনকি এসব সুরক্ষা সমাগ্রী তৈরিতে আইসো প্রোপাইল অ্যালকোহল, গ্লিসারল ও হাইড্রোজেন পারক্সাইডের মিশ্রণেও নেই কোনো মাপজোক। বেশিরভাগ দোকানেই নেই কোনো ল্যাব বা কেমিস্ট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব মানহীন নকল স্যানিজাইজারে করোনাভাইরাস তো ধ্বংস হবেই না, বরং এগুলো ব্যবহারকারীরা পড়বেন স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে। তাই এসব অসাধু ভেজাল পণ্য প্রস্তুতকারক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা বাড়ায় মিডফোর্ডের অনেক ক্যামিক্যাল ব্যবসায়ী রাতারাতি স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারক বনে গেছেন। প্রতিদিনই জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তাভাবনা না করে তৈরি করছেন মানহীন স্যানিটাইজার ও স্যাভলন। এসব নকল সুরক্ষা সামগ্রী ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বাজারে বিক্রিও হচ্ছে।
মিটফোর্ডের বিভিন্ন ক্যামিকেল দোকানে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে পালিয়ে যান ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। মিটফোর্ডে এসব নকল স্যাভলন স্যানিটাইজার প্রস্তুত করা হলেও বিক্রি হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে।
বাণিজ্যিকভাবে স্যানিটাইজার বিক্রির জন্য ওষুধ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বোতলের গায়ে বিভিন্ন উপকরণের মিশ্রণের মাত্রা লেখা থাকতে হয়। কিন্তু মিটফোর্ডে প্রস্তুত করা এসব স্যানিটাইজার বিক্রির জন্য ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি আছে। না এদের গায়ে বিভিন্ন উপকরণ মিশ্রণের সঠিক মাত্রা দেওয়া আছে। তাছাড়া এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারি।