মুক্তচিন্তার লেখক মানেই  ‘নাস্তিক’, অতঃপর খুন

ছবিঃ বাংলাদেশের মুক্ত চিন্তার লেখক ও ব্লগারদের নাস্তিক তকমা দিয়ে মৌলবাদীরা চাপাতির আঘাতে খুন করেছে

মতামত

শাকিলা পাতা (এসপি)|

এক.

বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য (ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা, (খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান, (গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার, (ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন বিলোপ করা হইবে। অথচ ভিন্ন ধর্মের মত প্রকাশকারীদের উপর চলে দলীয়, রাষ্ট্রীয়, সাংগঠনিক এমনকি সামাজিকভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, মামলা, হয়রানি, জীবনের ঝুঁকি এমনকি হত্যাকাণ্ড, যা বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

বাংলাদেশে ধর্মের স্বাধীনতা কখনই ছিলো  না। যদি ধর্মের স্বাধীনতা থাকতো, তাহলে ভিন্ন ধর্ম পালনকারীদের নাস্তিক তকমা দিয়ে খুন করা হতো না। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং ধারায় বলা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে- (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল, (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে, (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক্ ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং (খ) সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল।এই স্বাধীনতা মূলত কাগজ কলমেই সংরক্ষিত। এর প্রয়োগিক দিক ক্ষমতাসীন কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের হাতে মুষ্ঠিবদ্ধ। ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য রাজনৈতিকদলগুলো, সরকার, বিরোধী দল ও ধর্মীয় গোষ্ঠী প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক এই অধিকারকে করেছে কুক্ষিগত, কখনো করেছে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার।

স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সে সকল নাগরিক তার মত প্রকাশ করেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, কলম ধরেছেন, মুক্ত চিন্তার প্লাটফরমে লেখালেখি করেছেন, তাদের দেওয়া হয়েছে নাস্তিক তকমা কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী! আফসোস বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পাকিস্তানের নিকট থেকে পেলেও শাসকশ্রেণি, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর নিকট থেকে পায়নি। এই মুক্তচিন্তার অধিকারী মানুষ কখনো অস্ত্র ধরে সন্ত্রাস কর্মকাণ্ড করিনি, ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রদলের মতো চাঁদাবাজিও করিনি।  জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যদল বা অন্যান্য ধর্মীয় মৌলবাদীদের মতো নিজ ধর্ম পালন করতে জোর করে চাপিয়ে দেয়নি। বরং এসব গোষ্ঠী ভিন্ন ধর্মের মত প্রকাশকারীদের নাস্তিক তকমা দিয়ে তাদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারকে করেছে হরণ, শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে।

দুই.

বাংলাদেশে নাস্তিক ও ব্লগার একটা ‘গালি’। সমাজের শিক্ষিত, অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশের ধারণা নাস্তিকতা ও ব্লগার মানেই হচ্ছে খারাপ কিছু করে ৷ তারা ধর্ম পালন করে না, ফলে অনৈতিক কাজে তাদের কোনো বাধা নেই ৷ একজন নাস্তিক বা ব্লগার ব্যক্তি সব নষ্টের মূল। তারা রাষ্ট্রদ্রোহী। তারা ইসলামের ঘোর শ্ত্রু । তারা সমাজে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন ধারণা বেশ ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠিত৷ হতাশার কথা হচ্ছে, নাস্তিকতা কিংবা ব্লগিং মাত্রই যে নেতিবাচক কিছু নয়, সেই সচেতনতা সৃষ্টিতে কোনো উদ্যোগ নেই৷ বরং উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে ব্লগিং না করার জন্য। বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ব্লগিং সাইটগুলো, যেখানে মানুষ মুক্তচিন্তা লেখালেখি করত।

ফলে বর্তমানে নৈতিকভাবে দুর্বল একটি নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বললেও নাস্তিকতার ঘোর বিরোধী হিসেবে দেখাতে পছন্দ করে৷ যদিও ধর্ম নিরপেক্ষতার মধ্যে যে নাস্তিকদের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার নিশ্চিতের ব্যাপারটিও থাকে, সেটা সম্ভবত তাদের ভাবনায় নেই। বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠী জাতীয় সংসদে এই সাংবিধানিক অধিকারের বিপেক্ষে বক্তব্য প্রদান করেছে। এর ফলে ধর্মীয় আলেমগণ প্রকাশ্যে নাস্তিক হত্যা, ব্লগারকে হত্যা করার ঘোষণা দেয়। শুরু হয় মুক্তচিন্তার অধিকারী মানুষদের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন, লাঞ্ছনা,সমাজচ্যুত করা ও জীবননাশের হুমকি। চাপাতির আঘাতে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় ব্লগারদের। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, কোন রাজনৈতিক দলই এর বিচার দাবি করেনি, এমনকি তাদের রক্ষা করতে এগিয়েও আসেনি। লেখালেখি বন্ধ করার জন্য জীবননাশের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, করা হচ্ছে ঘরবাড়িছাড়া।

তিন.
মুক্তচিন্তার অধিকারী লেখকদের একের পর এক হত্যা করা হয়েছে। কারণ তারা বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বাস করত, তারা মনে করত রাষ্ট্র তাদের মতপ্রকাশের অধিকার দিয়েছে, রাষ্ট্র তাদের জীবন রক্ষা করবে । কিন্ত রাষ্ট্র তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যে সকল লেখক ও চিন্তাবিদ মুক্তচিন্তার জন্য সমাদ্রিত এবং আমাদের মত অনেকের প্রেরণা তাদের  তালিকা নিচে দেওয়া হলো-

১। নাম: রাজীব হায়দার,  থাবা বাবা ছদ্মনামে ব্লগ লিখতেন,
হত্যাকাণ্ডের তারিখ ও স্থান : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নিজ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়,
হত্যার কারণ: ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাম্প্রদিয়ক মৌলবাদের বিপেক্ষে লিখতেন,
কারা তাকে হত্যা করেছে: নাস্তিক উপাখ্যান দিয়ে তাকে মৌলবাদী সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের চরম্পন্থীরা হত্যা করে

২। নাম: অভিজিৎ রায়
হত্যাকাণ্ডের তারিখ ও স্থান: ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বাংলা একাডেমি একুশে বইমেলার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়
হত্যার কারণ: ধর্মীয় বিশ্বাস, নাস্তিক, ব্লগ ও মুক্তচিন্তার বিজ্ঞানভিত্তিক লেখালিখি করতেন
কারা তাকে হত্যা করেছে: ইসলামী মৌলবাদী দল আনসারুল্লা বাংলা সংগঠন,

৩।  নাম: ওয়াশিকুর রহমান ‘কুৎসিত হাঁসের ছানা’, এই ছদ্মনামে লিখতেন
হত্যাকাণ্ডের তারিখ ও স্থান: ৩০ মার্চ ২০১৫, ঢাকার তেজগাঁও এলাকার একটি সড়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়
হত্যার কারণ: ধর্মান্ধতা ও ধর্মীয় বিশ্বাস,বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাধারার পক্ষে সওয়াল করে একটি ব্লগ চালাতেন
কারা তাকে হত্যা করেছে: উগ্র ইসলামপন্থী মাদ্রাসার ছাত্র, জামায়াতে ইসলামীর কিলার বাহিনী

৪। নাম: অনন্ত বিজয় দাস
হত্যাকাণ্ডের তারিখ ও স্থান: ১২ মে, ২০১৫, সিলেটে বাসার বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ,
হত্যার কারণ: ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিজ্ঞানমনষ্ক মুক্তমনা নামে একটি ব্লগে লিখতেন এবং সিলেট থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
কারা তাকে হত্যা করেছে: ইসলামী ধর্মীয় গোষ্ঠী

৫। নাম: নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়, “নিলয় নীল” ছন্মনামে লিখতেন,
হত্যাকাণ্ডের তারিখ ও স্থান: আগস্ট ২০১৫, দুপুরে ঢাকার গোড়ানের বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়
ধর্মীয়  বিশ্বাস ও  মৌলবাদ-বিরোধী ব্লগিং লিখতেন।
কারা তাকে হত্যা করেছে: ইসলামী গোষ্ঠীর ৪ জন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়।

৬। নাম: আশরাফুল আলম
হত্যাকাণ্ডের তারিখ ও স্থান: ১ আগস্ট ২০১৪,  সাভারে গলা কেটে হত্যা করা হয়
হত্যার কারণ: ইসলামী মৌলবাদ বিরোধী ছিলেন,
কারা তাকে হত্যা করে: উগ্র ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী

৭। নাম: নাজিমুদ্দিন সামাদ
হত্যাকাণ্ডের তারিখ ও স্থান: ৬ এপ্রিল ২০১৬, ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে হত্যা করে
হত্যার কারণ: ধর্মীয় বিশ্বাস ও  মৌলবাদ-বিরোধী চিন্তার ব্লগিং লিখতেন
কারা তাকে হত্যা করে: চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জন বিভিন্ন ইসলামী দলের সদস্য

৮। নাম: ফয়সাল আরেফিন দীপন
হত্যাকাণ্ডের তারিখ ও স্থান: ৩১ অক্টোবর ২০১৫  শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
হত্যার কারণ: ইসলামী মৌলবাদ বিরোধী  মতদর্শী ও প্রকাশক
কারা তাকে হত্যা করে: আনসার আল ইসলাম নামে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন

৯। নাম: অধ্যাপক  এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী,
হত্যার তারিখ ও স্থান: ২৩ এপ্রিল ২০১৬, রাজশাহী শহরের শালবাগান বটতলায়  চাপাতির আঘাতে হত্যা করা হয়।
হত্যার কারণ: ধর্মীয় বিশ্বাস ও  মৌলবাদ-বিরোধী চিন্তার অধিকারী
কারা তাকে হত্যা করে: জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের সদস্য ও নিজ বিভাগের ছাত্র শরীফুল

১০। নাম: অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন
হত্যার তারিখ ও স্থান: ১৫ নভেম্বর ২০১৫,  রাবি সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাসার সামনে চাপাতির আঘাতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন।
হত্যার কারণ: প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার ধারক হওয়ার কারণে
কারা তাকে হত্যা করে: হত্যাকাণ্ডের ৫ ঘণ্টার মাথায় ফেসবুকে হঠাৎ পেজ খুলে হত্যার দায় স্বীকার করে জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২

১১। নাম: অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদ
হত্যার তারিখ ও স্থান: ১১ আগস্ট, ২০০৪, মিউনিখ, জার্মানি
হত্যার কারণ: ধর্ম, প্রথা, প্রতিষ্ঠান ও সংস্কারবিরোধিতা, নারীবাদী ও রাজনৈতিক বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা ইসলামী গোষ্ঠি কারা তাকে হত্যা করে: জামায়াত-ছাত্রশিবির আক্রমণ করেছিল। পরে জার্মানিতে মৃত্যু হয় আততায়ীর আঘাতে।

১২। নাম: অধ্যাপক ড. ইউনুস
হত্যার তারিখ ও স্থান:  ২৪ ডিসেম্বর ২০০৪, বিনোদপুর এলাকায় মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার শিকার হয়ে মারা যান হত্যার কারণ: অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক প্রগতিশীল মুক্তচিন্তা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের ধারক হওয়ার কারণে
কারা তাকে হত্যা করে: জামায়াতে ইসলামি, জেএমবি ও ইসলামী দলগুলো জীবননাশের হুমকি দিয়েছিল। পরে তাদের হাতে খুন হন।

১৩। নাম: জুলহাজ মান্নান
হত্যার তারিখ ও স্থান: ২৫ এপ্রিল ২০১৬, কলাবাগানে নিজ বাসায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়
হত্যার কারণ: অধিকারকর্মী ও সমকামী ম্যাগাজিন রুপবানের সম্পাদিক ছিলেন
কারা তাকে হত্যা করে: আনসার-আল-ইসলাম

১৪। নাম: মাহবুব তনয়
হত্যার তারিখ ও স্থান: ২৫ এপ্রিল ২০১৬ কলাবাগানে নিজ বাসায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়
হত্যার কারণ: অধিকারকর্মী ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, জুলহাসের বন্ধু
কারা তাকে হত্যা করে: আনসার-আল-ইসলাম

এই হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে শুধুমাত্র তাদের মতপ্রকাশ করার জন্য ও ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে লেখালেখির কারণে। বাংলাদেশের সংবিধান মৌলিক অধিকার প্রকাশের ক্ষমতা দিয়েছিল কিন্তু ইসলামী সন্ত্রাসীরা তাদের খুন করেছে। সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যখন বক্তব্য দিয়েছে তারা মুসলিম, তারা এই ব্লগারদের দায়িত্ব নেবে না, তখন সন্ত্রাসীরা হত্যাকাণ্ডে মেতে ওঠে। তাই একথা বলা যায়, বাংলাদেশে ধর্মীয় মতপ্রকাশ করলে তাকে নাস্তিক তকমা দিয়ে মেরে ফেলা হয়।

পরিশেষে বলতে পারি, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হলেও কার্যত ভিন্ন ধর্মীয় মতপ্রকাশকারীদের রাষ্ট্র কোন নিরাপত্তা দিতে পারে না। ফলে তাদের জীবননাশের ঝুঁকিতে থাকতে হয়। সেই সাথে তাদের পরিবারকেও সামাজিকভাবে হেনস্থা ও  হুমকির শিকার হতে হয়। ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী এখানেই থেমে থাকে না। স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য তাদেরকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে হত্যা করে যা সম্পূর্ণরূপে মানবাধিকার ও বাংলাদেশের সংবিধানের লঙ্ঘন।

লেখকঃ মোছা. শাকিলা শারমিন
সাংবাদিক ও ব্লগার
shakilapata11@gmail.com