রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি পেল দেশীয় ৬ কোম্পানি

রেমডেসিভির

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমসিডিসিভির (Remdesivir) ব্যবহার করে সাফল্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার বিজ্ঞানীরা। অন্যান্য ওষুধের চেয়েও এটির ব্যবহারে সুস্থতার হার ৩০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া মানবদেহের কোষের মধ্যে প্রবেশ করে ভাইরাসের বৃদ্ধি রুখে দেয়ার মতো ক্ষমতাও ওষুধটির আছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

এবার করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য এই ওষুধটি দেশে উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে ছয়টি কোম্পানিকে অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সেগুলো হলো- বেক্সিমকো, বীকন, এসকেএফ (এসকে-এফ), ইনসেপ্টা, স্কয়ার ও হেলথকেয়ার কোম্পানি।

তথ্যটি নিশ্চিত করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, দেশের বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোম্পানিগুলোকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমসিডিসিভির উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, কাঁচামাল আমদানি করে চলতি মাসের মধ্যেই রেমসিডিসিভির উৎপাদন শুরু করবে এসকে-এফ ও বেক্সিমকো। তবে এগুলো কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা করানো হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত ওষুধটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হবে।

corona

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৬৮টি স্থানে ১ হাজার ৬৩ জন কোভিড-১৯ রোগীর ওপর ওষুধটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীরা দ্রুত সুস্থ উঠছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথ করোনার চিকিৎসায় রেমসিডিসিভিসহ আরো কয়েকটি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর আগে তারা বিভিন্ন পশুর শরীরে কোভিড-১৯, সার্স ও মার্স ভাইরাস প্রতিরোধে ওষুধটি প্রয়োগ করে সাফল্য পেয়েছিল। তাই এবার মানবদেহেও এটি প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি হিসেবে ওষুধ ব্যবহারের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। ওষুধটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো দেশটির গিলিড সায়েন্সেস।