আমেরিকানরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে! না তারা অতি দ্রুত সনাক্ত করতে পারছে?

মোহাম্মদ ইমরান:

৪ লক্ষ আক্রান্ত সনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র টেস্ট করেছে ২০ লক্ষ ৭৫ হাজার। টেস্টের আওতায় আনা এই বিপুল সংখ্যক আমেরিকানদের সবার কি করোনার উপসর্গ ছিলো? উত্তর হচ্ছে না। কেউ সনাক্ত হলেই তার সংস্পর্শে থাকা পুরো মহল্লা তুলে নিয়ে আসছে টেস্ট করানোর জন্য। হাম তুলে নিয়ে আসতেছে। আমাদের মত দ্বারেদ্বারে ঘুরে কাকুতি মিনতি করতে হয়না ফ্লোরা মেডামদের কাছে। আমেরিকায় সনাক্ত হওয়া রুগীর সংখ্যা জানান দিচ্ছে তারা চীনের পথেই হাঁটছে দ্রুততার সাথে।

টেস্ট এবং সনাক্তের দিক থেকে ২য় থেকে নিচের গুলো দেখলেই বুঝা যায় হেলথ সেক্টরে আমেরিকার সক্ষমতা কতটা আকাশচুম্বী।

করোনা মোকাবেলায় আমাদের সরকার প্রচার করেছে প্রধান অস্ত্র দুটো। এক সামাজিক দুরত্ব ও দুই বেশি বেশি হাতে সাবান মাখা। এগুলোকে বাদ দেয়ার সুযোগ নাই ঠিক আছে। কিন্তু বেশি বেশি টেস্ট করার গুরুত্ব এ দু’টোর চাইতে হাজারগুন বেশি। আমরা টেস্ট করছি খুব আরাম করে যেন তাড়া দেখানোর মত কোন বিষয়না, এমন ভাব।

আক্রান্ত সনাক্ত না করে সারা দেশ ১২ মাস লকডাউন করে রেখেও করোনা দূর করা যাবে না। উপসর্গ না থাকলে করোনাও নাই এ মূর্খতা ছেড়ে যারাই সনাক্ত হবে তাদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে টেস্ট করতে হবে, প্রয়োজনে পুরো গ্রাম করতে হবে।

তা নাহলে করোনা বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবেসে আঁকড়ে থাকবে বছরকে বছর। পুরো বদ্বীপ জনপদ শূন্য করে দিয়ে সহিসালামতে যত্ন সহকারে পরপারে পাঠিয়ে দিবে হাজারে হাজারে লাখে লাখে।