মার্কিন গবেষণা: বাংলাদেশ-ভারতে ছড়িয়েছে দুর্বল ভাইরাস

করোনাভাইরাস (Coronavirus)- প্রতীকী ছবি

জনবার্তা ডেস্কঃ নভেল করোনাভাইরাসের (Covid-19) সংক্রমণে দিশেহারা গোটা বিশ্ব। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত এতে আক্রান্ত হয়ে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন মোট ৪ হাজার ১৮৬ জন। তবে একদল মার্কিন গবেষকের দাবি, ভারত-বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় যে টাইপের করোনাভাইরাস (Coronaviru) ছড়িয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্র (USA) বা ইউরোপ (Europ) অঞ্চলে ছড়ানো টাইপের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল ও কম মরণঘাতী।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে তা নিয়ে গবেষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের বিজ্ঞানী ফরেস্টার ও তার সহকারীরা। গবেষণা শেষে এ বিষয়ে নিজেদের জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তারা।

এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রান্ত করার ক্ষমতা সব জায়গায় সমান নয়। এ ভাইরাসটি অতি দ্রুত নিজের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে পারে। ফলে কিছু কিছু অঞ্চলে এর মারণ ক্ষমতা খুবই বেশি, আবার কিছু কিছু অঞ্চলে তা তুলনামূলক কম।

এতে আরো বলা হয়, বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা নমুনা বিশ্লেষণ শেষে করোনাভাইরাসকে ৩টি সাব-টাইপে ভাগ করেছেন। এ সাব-টাইপগুলোকে তারা ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ নাম দিয়েছেন তারা।

bangladesh situation
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে একেবারে ফাঁকা রাজধানী ঢাকার রাস্তা-ঘাট

বিজ্ঞানীদের মতে, ‘এ’ এবং ‘সি’ টাইপের করোনাভাইরাসের মারণ ক্ষমতা খুবই বেশি। এই দুই টাইপের কোভিড-১৯ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়েছে। ফলে সেখানে করোনায় আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর হার অনেক বেশি।

অন্যদিকে, ভারত ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় ছড়িয়েছে ‘বি’ টাইপের ভাইরাস। এদের মারণ ক্ষমতা ‘এ’ এবং ‘সি’ টাইপের তুলনায় অনেকটা কম। ফলে এসব অঞ্চলে মৃত্যুর হার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুলনায় অনেকটা কম।

তবে তাই বলে এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের ঝুঁকি কম বলে নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন গবেষকরা। কারণ হিসেবে তার বলছেন, ভারত ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে জনসংখ্যা ও ঘনবসতি বেশি। তাই সামাজিক দূরত্ব না মানলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস দ্রুত চরিত্র বদল করে যেকোনো সময় দুর্বল টাইপের ভাইরাসও ভয়ংকর ও মরণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।