হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ: বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তি কি বাতিল হবে?
ঈদের আগে খুলছে না যেসব মার্কেট
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এমন ঊর্ধ্বগতির সময় মার্কেট খোলার ঘোষণা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে। সরকার দায় চাপাচ্ছে মালিক সমিতির ওপর, তাদের অনুরোধেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত। ওদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আবেদনের দীর্ঘদিন পর এসে এমন একটা সময় অনুমতি দেওয়া হয়েছে যখন মার্কেট খুলেও লাভ নেই। আরো নানা কারণে সরকারের অনুমতি পেয়েও অনেকেই ঈদের আগে মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা দোকান খোলার আবেদন করেছিলাম ২৭ এপ্রিল। সেই অনুমতি পাওয়া গেল তখন যখন রমজানের অর্ধেক শেষ। এখন দোকান খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বিক্রির পরিবেশ ফেরাতে সময় লাগবে আরো অন্তত ৫ দিন। এরপরও ক্রেতা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। এসব বিবেচনা করে অনেকেই ঈদের আগে মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সর্বপ্রথম দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বড় দুই শপিংমল যুমনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি। তাদের দেখাদেখি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরো অনেকে। নিউ মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম। খুলছে না বায়তুল মোকাররম মার্কেট। রাজধানীর মৌচাক, আনারকলি মার্কেটও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
না খোলার এই তালিকায় আরো আছে রাজধানীর বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, জাকির প্লাজা, গুলিস্তান পুরান বাজার, নগর প্লাজা, সিটি প্লাাজা ও বঙ্গ ইসলামীয়া সুপার মার্কেট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী বলেন, এটা কোনো অনুমতিই না। যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো মেনে দোকান চালানো সম্ভব নয়। বেশিরভাগ মানুষ ঈদের শপিং করে ইফতারের পর, অথচ দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।