হার্ড ইমিউনিটির আলাপ বাংলাদেশে উঠে গেছে অনেক আগে, এপ্রিলেই

পিনাকী ভট্টাচার্য

হার্ড ইমিউনিটির আলাপ বাংলাদেশে উঠে গেছে অনেক আগে, এপ্রিলেই। মেডিকেল টেকনিক্যাল শব্দ হিসাবে এটা জানাবুঝার ব্যাপার আছে। আবার এই পলিটিক্যাল ইম্পিলিকেশন-পরিণতি কী কী সেদিক থেকেও এটা পাঠ করতে হবে নইলে শুধু টেকনিক্যাল জানাটা বিপরীত ফল আনবে। ফলে হার্ড ইমিউনিটির বিষয়টা নিয়ে আলোচনা খুবই গুরুত্বপুর্ণ ।

এছাড়া বাংলাদেশে আরেকটা দিক আছে, তা হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মানুষের আকুতি। আক্রান্ত না হতে চাইলে ও অন্যের আক্রান্ত না হতে চাওয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে না চাইলে লকডাউন মানতে হচ্ছে, মানতে হচ্ছে আইন বা সরকারি নির্দেশ।

মসজিদে জমায়েতে না যাওয়ায় মনের ভিতর খচখচঅস্বস্তিও তো কম নয়। কারণ ধর্ম বা ইসলাম তো মূলত জমায়েতেই চর্চা করার কথা। আবার একটা পেশাগত রুটিরুজির দিকও আছে। যেমন আমাদের কমিউনিটিতে মসজিদ আছে, মসজিদ-কেন্দ্রিক একধরণের বিশেষ কমিউনিটিও তৈরি হয়ে গেছে। সেখানে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ তো আছেনই তার সাথে আছেন ইমাম, মোয়াজ্জিন ওয়াজকারি বুজুর্গ থেকে শুরু করে মসজিদের বাইরে অস্থায়ী দোকানদার যারা টুপি জায়নামাজ আতর জাতীয় পণ্য বিক্রেতা। আরও আছে যেমন, মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ দোয়াদুরুদকারি ফকির ইত্যাদি। মসজিদ ভিত্তিক কর্মকাণ্ডে সমাজের সব অংশের লোকের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ এক সমাবেশ আছে, একটা রুটিরুজির বাস্তবতাও আছে। মসজিদ যদি বিশেষ কারণে আর জমায়েতের মসজিদ না থাকে, তাহলে রুটিরুজির বাস্তবতাটাও আক্রান্ত ও জীবন যাপন কঠিন হয়ে যায়। তাই সবমিলিয়ে লকডাউনের একটা বিকল্প খুজে পাবার তাগিদও সবার আছে।

তাগিদ আছে বলেই সেই জায়গা থেকে যেভাবেই হোক হার্ড (herd) ইমুনিটি কে বিকল্প হিসাবে বিবেচনা-বিহীন প্রবলভাবে তুলে ধরতে হবে এর কোন মানে নেই। মানে হয় না।

কিন্তু তবু বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের একাংশ হার্ড ইমুনিটির ভক্ত হয়ে উঠেছেন বা এর পক্ষে দাঁড়িয়ে গেছেন। এসব প্রসঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত যে যা ভাল বুঝবেন নিবেন অবশ্যই। সেই কাজে কিছু আলো ফেলে সহায়তা করতেই এই লেখা।

চলতি লক ডাউন সরকার কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে পারবে কী পারবে না সেটা অন্য আলাপ। অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাচ্ছে, তার ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি অনাহারে অর্ধাহারে থাকছে, উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে, সেটাও অন্য আলাপ। কিন্তু লক ডাউন না করে হার্ড ইমিউনিটির যুক্তি দেয়াটা শুধু মুর্খতাই নয়, মারাত্মকভাবে বিপদজনক ও পলিটিক্যালি মারাত্মক ভুল।

হার্ড ইমিউনিটির অর্থ হচ্ছে “বেশীরভাগ” সংক্রমিত হয়ে এরপর সুস্থ হয়ে গেলে বাকীরা ভ্যাক্সিন না পেলেও বা সংক্রমিত না হলেও ভাইরাস প্রতিরোধী এক ধরণের ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় । একেক ভাইরাস রোগের জন্য এই “বেশীরভাগ” মানুষের সংখ্যা একেক রকম। মোটামুটিভাবে ৮০% এর মতো মানুষ ভ্যাক্সিন পেলে হার্ড ইমিউনিটি হতে পারে। সংক্রমিত হলেই তার দীর্ঘ মেয়াদে ইমিউনিটি হয়না। করোনাতে কতদিনের জন্য ইমিউনিটি হয় সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। সাধারণভাবে ধারণা করা হয় কোভিড সংক্রমিত হলে কয়েক মাস ইমিউনিটি থাকতে পারে। এর কারণ হচ্ছে ভাইরাস মিউটেট করে। মানে হচ্ছে তার গড়ন বদলায়। ভাইরাস গড়ন বদলিয়ে ফেললেই আগের তৈরি হওয়া ইমিউনিটি নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে অকার্যকর হয়ে যায়। কোভিড এর মধ্যেই কয়েকবার তার গড়ন বদলেছে। আমাদের সাধারণ সর্দি জ্বর এমনই ভাইরাস। আমরা আমাদের জীবনে কয়েকবার করে সংক্রমিত হলেও আমাদের জনগোঠিতে কোন হার্ড ইমিউনিটি তো দুরে থাক, আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ইমিউনিটিই হয়নি। এমনকি করোনাতে মাত্র দশ শতাংশ আক্রান্তের রোগ প্রতিরোধী এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাই একবার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি দ্বিতীয়বারও আক্রান্ত হচ্ছেন।

বুঝে-না-বুঝে তাদের স্বার্থের সাথে খাপ খায় বলে যারা হার্ড ইমিউনিটির প্রবক্তা এরা ব্যতিক্রমহীন ভাবে যুক্তি হিসেবে সুইডেনের লক ডাউনে না যাওয়ার যুক্তি তুলে ধরেন। কিন্তু আশংকাজনক হচ্ছে, লক ডাউনে না যাওয়ার জন্যই বর্তমানে কোভিড নাইন্টিনে সবথেকে বেশি মৃত্যুর হার সুইডেনে। তাদের পার ক্যাপিটা ডেথ ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। এই সংক্রান্ত বিবিসির রিপোর্ট পড়তে চাইলে

Coronavirus: Per capita death rate in Sweden ‘very high লিখে গুগল করুন।

হার্ড ইমিউনিটির প্রবক্তারা অর্থনীতি খারাপ হবে জন্য আতংকিত। শোনেন ভায়া অর্থিনীতি সবকিছু খোলা রাখলেও ভালো রাখতে পারবেন না। অর্থনীতি এতো সহজ বিষয় না যে সবকিছু খোলা রাখলেই অর্থনীতি তরতর করে এগুবে। অর্থনীতির জন্য এক্সচেঞ্জ লাগে। আপনি কার কাছে তেকে কাচামাল কিনবেন? কাকে বেচবেন আপনার পণ্য? সারা দুনিয়া তো বন্ধ। সুইডেনে সব কিছুই খোলা রেখেও অর্থনীতির পতন ঠেকাতে পারেনি। গুগলে Sweden didn’t lock down, but economy to plunge anyway লিখে সার্চ দেন। দেখেন কীভাবে সুইডেনের অর্থনীতি ডুবছে।

এইবার আসেন কেন লক ডাউন পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট সেটা নিয়ে আলাপ করি।

সবাইকে সংক্রমিত হতে দিলে সংক্রমিতদের মধ্যে ১-২% মারা যাবে। এটা অন্য কোন দেশের হিসাব না, বাংলাদেশেরই হিসাব।

কিন্তু একটা কিন্তু আছে। এটা হল বাংলাদেশের ফিগার যদিও এটা আধাখেচড়া লকডাউনের ফিগার। আর সুইডেন যারা দেখি যারা লকডাউন করেই নাই তাদের মারা যাবার হার এখনই ১০ লাখে ৬.২ পর্যন্ত উঠেছে। খেয়াল রাখবেন এটা আক্রান্তের ভিতরে মৃত্যু নয়। এটা জনগোষ্ঠির মধ্যে মৃত্যু। লন্ডনে গার্ডিয়ানে ২জুনে শেষ হওয়া সপ্তাহে একটা গ্লোবাল হারের তুলনা দিয়েছে।

বাংলাদেশে কতজন মানুষ সংক্রমিত হয়েছে আর কতজন মারা গেছে সেটার আজকের হিসাবটা নিয়ে ঐকিক নিয়মে অংক কষে দেখেন।

তার মানে লকডাউন একেবারে তুলে দিয়ে হার্ড ইমুনিটির পথে যাবার যদি সিদ্ধান্ত নেন তবে বাংলাদেশে হার যেটাই হোক, বেশীরভাগ মানুষ আক্রান্ত হলে কমপক্ষে ১৮ লাখ মানুষ মারা যাবে।

এভাবে মানুষ মরে যাক সেটা চান? একটা রাষ্ট্র সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে? যেই মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য সেই মৃত্যুকে আমি ঘটতে দেবো, এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রকে নেয়ার দায়িত্ব কে দিয়েছে?

এর চেয়েও আরও কঠিন প্রশ্ন আছে। ঐ ১-২% এর বেশি-কম যাই হোক আমাদের মধ্যে কে কে ঐ শতকরা অংশের ভিতর পড়তে চাইবে? তার মানে কী আমরা চাইছি আমি শতকরা ১-২% এর মধ্যে পড়বো না, অন্যরা পড়ুক। এটা হবে অন্যকে ঐ শতকরা অংশের ভিতর ফেলে দেওয়া।

এখন দেখেন, ঠিক এটাই হচ্ছে, আমি মরবো না, অন্যরা মরুক। ভি আই পির জন্য হাসপাতাল বা আইসিইউ ইত্যাদি এগুলার অর্থ কী? তাহলে হার্ড ইমুনিটির সোজা মানে হবে সবার জন্যই হাসপাতাল সার্ভিস জরুরি হবে না। তারা বাচলে বাচবে, যদি প্রাকৃতিকভাবে ইমুনিটি গড়তে পারলে, নাইলে নাই। কেবল একটা বিশেষে ক্লাসের জন্য হাসপাতাল বা আইসিইউ ইত্যাদি সব ব্যবস্থাগুলোকে রেখে দেয়া হবে। রাষ্ট্র কী এভাবে কাকে বাচাবে আর কাকে মরার মুখে ফেলে চলে যাবে এই সিধান্ত কী নিতে পারে? কনষ্টয়িটিউশনালি এই বৈষম্য করার ক্ষমতা সরকারকে কেউ দেয় নাই। কে মরবে এটা বেছে দিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রকে দেয়া হয় নাই – এই হল সোজা কথা।

হার্ড ইমুনিটি কথাটার অরিজিনাল অর্থের তাতপর্যের দিক হল এটা প্রাকৃতিক ন্যাচারাল সিলেকশন হতে হবে। মানে সিদ্ধান্ত নিয়ে হার্ড ইমুনিটির পথে যাওয়া যাবে না। যেমন ধরা যাক, কোন রাষ্ট্র বা কমুনিটির সামর্থই নাই প্রতিরোধের। এই পরিস্থিতিটাই হল হার্ড ইমুনিটির। কারণ এখানে সিদ্ধান্ত নেয়া না নেয়া সমান। মানে হল, ঘটে যাবার পর ঐ ঘটা ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে আমরা বলতে পারি ওখানে “হার্ড ইমুনিটি” পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাই ওখানে্মাত্র এত পার্সেন্ট লোক মারা যাবার বিনিময়ে বা উপর দিয়ে বাকিরা “হার্ড ইমুনিটির কারণে বেচে” গিয়েছে। অর্থাৎ হার্ড ইমুনিটি কথাটার সারার্থ এটা প্রাকৃতিক ন্যাচারাল সিলেকশন। এবং আরো ভেঙ্গে বললে এটা অবজেকটিভ। কোন কর্তা এটা ঠিক করে নিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে ঘটায় নাই, এমন হতে হবে। একটা তথ্য দিয়ে রাখি – সুইডেনের আফিসিয়ালি হার্ড ইমুনিটি বলে কিছু নাই, কোন সরকারি ঘোষণা নাই। কেবল স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান টেকনিক্যাল দায়ীত্বের লোকটা একে হার্ড ইমুনিটি বলে স্বীকার করছে। খুব সম্ভবত মামলা খাওয়া বা আইনি ফ্যাকড়ার ভয়ে।

এসবের বাইরেও হার্ড ইমুনিটি ইস্যুতে আরেকটা আলোচনা উঠতে দেখা যেতে পারে। এর প্রথম শর্ত হল এটা ভ্যাকসিন আবিস্কার পরবর্তি পরিস্থিতি হতে হবে অবশ্যই। সেই সাথে এটা স্টেবল মানে ওয়াইড রেঞ্জের ভাইরাস কাভার করা ভ্যাকসিন আবিস্কার হতে হবে। এমন হয়ে যাবার পরের পরিস্থিতিতে এ আলোচনা হতে পারে। এর আগে নয়। এর উদ্দেশ্য হল, নুন্যতম কতজনকে টিকা দিলে বাকিদের না দিলেও সকলে নিরাপদ থাকবই, পরিসংখ্যানগত সেই ফিগার বের করার দরকারে কোন পরিসংখ্যানগত গণনায় সেটা বের করার আলাপ যদি হয় তাহলে।

আমাদের পরিস্থিতি কী তাহলে? ভ্যাক্সিন আবিস্কার হয়ে গেছে, না ভ্যাক্সিন আমাদের হাতে আছে? এর কোনটাই না। তাহলে, কেন সবাইকে ভ্যাক্সিন না দেয়ার পরেও সবাই রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সেটার কারণ হিসেবে হার্ড ইমিউনিটি তত্ত্ব এসেছে? তার মানে এই না হার্ড ইমিউনিটি পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। কোন একটা ঘটনায় হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হলে ভালো, কিন্তু হার্ড ইমিউনিটির জন্য প্রাণ বলি দিতে হবে এইটা তো প্রাগৈতিহাসিক চিন্তা। এইজন্যই শেখ হাসিনা এই হার্ড ইমিউনিটির কথা নিজের মুখে কখনো বলবে না।

আগেকার দিনে রাজারা দীঘী কাটতো তাতে পানি না এলে রাজারা সেইখানে নরবলি দিয়ে দেবতাদের তুষ্ট করতেন। আজকের হার্ড ইমিউনিটির প্রবক্তারা সেই রাজার মতো যারা ১-২% নাগরিকের জীবন বলি দিয়ে অর্থনীতি বাচাতে চান।

ইসলামপন্থীদের কেউ কেউ যারা এই জটিল বিবেচনাওগুলো না আমল করেই হার্ড ইমিউনিটির পক্ষে সারিন্দা বাজাইতেছেন উনারা অজান্তে হাসিনার ইচ্ছাকেই বাস্তবায়ন করে দিচ্ছেন। হাসিনা যা বলতে পারেবেনা, উনারা সেইটা বলে দিচ্ছেন নিজেদের কাধ পেতে দিয়ে।

হাসিনার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছে, “গার্মেন্ট আসলো, ঈদ আসলো, বাজার করল, ঈদে যাওয়া-আসা করল। এক লাফে ৫০ হাজার হয়ে গেল। সব সময় বলছি, সংক্রমণের চেইনটা যদি কাট করতে না পারি তাহলে সেটা কিন্তু বন্ধ হবে না। এভাবে চলতে থাকলে আরও ৬০-৭০ হাজার নতুন অ্যাড হয়ে যাবে। তখন কোনও হাসপাতালে আমরা জায়গা দিতে পারব না। কারণ এত রোগী এসে যাবে তাদের ১০ পারসেন্টেরও যদি হসপিটালাইজেশন লাগে তাহলে পরে আপনারা দেখেন ৭০-৮০ হাজার লোকের আবার নতুন করে জায়গা দিতে হবে। আমাদের সে জায়গা আছে কি?”

কথাটা লক্ষ্য করেন, গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্ত কী হাসিনা নেয় নাই? ঈদে বাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কি হাসিনা নেয় নাই? তাও স্বাস্থ্য মন্থী সেই দায় নেয় না। যেন দায় শুধু মানুষের।

এখুনি পরিস্থিতি খুব খারাপ, কিন্তু এরপরে যখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে তখন এরা দায় ইসলামপন্থিদের আর আপনাদের সাধারণ মানুষের কাধেই দেবে। আপনার যদি মনে হয় মানুষ মরা কোন বিষয় না। যান আপনি যান। আপনি বা আমরা নিজেরা মরতে চাইলে তো কারো কিছু বলার নাই। কিন্তু আমরা কেউই অন্য মানুষকে কোন বধ্যভুমিতে ডাকতে পারিনা।

আমরা যদি কেউ যদি আর্থিক সমস্যায় থাকি তবে আমদেরকে সেটাকে জোরদার আর্থিক ইস্যু করে তুলতে হাত লাগাতে হবে। আমি সেই হাত লাগাতে রাজী আছি। কিন্তু হার্ড ইমুনিটি দরকার বলে অবুঝ বা নাবুঝ পক্ষ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে পারি না। ।

মনে রাখতে হবে তথাকথিত “হার্ড ইমুনিটি” – এটা লকডাউনের কোন বিকল্পই নয়। কোনভাবেই নয়। আরও চেষ্টা করলে হয়ত কেউ কেউ লকডাউনের ভিন্ন কোন বিকল্প পেয়েও যেতে পারি। কিন্তু তবু কখনই হার্ড ইমুনিটি এই বিকল্পটা নয়। লকডাউন দেয়া যদি কোন ষড়যন্ত্রবাদি চোখে কারও যড়যন্ত্র বলে মনেই হয়, তবুও হার্ড ইমুনিটি লকডাউনের বিকল্প নয়।

কারণ কোন ‘কর্তা’ হার্ড ইমুনিটির সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

টেকনিক্যালিও না আইনের দৃষ্টিতেও না।