হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ: বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তি কি বাতিল হবে?
সিসির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির পদত্যাগ দাবিতে মিশরে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। রাজধানী কায়রোসহ গিজা, ফাইউম, মিনিয়া, লাক্সার এবং আসওয়ানে চলমান এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের একটাই দাবি, ভয় পাবেন না, সিসিকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
মিশরীয় সেনাবাহিনীর ঠিকাদার থেকে হুইসল ব্লোয়ার বনে যাওয়া মোহাম্মদ আলী মিশরীয় ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি একই আহ্বান জানান।
আল-আরবি আল-জাবেদের বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়, মিশরীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আতফিহের কেন্দ্রস্থল আল-কাদায়া গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে। তারা স্থানীয় পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রতিবাদ না করার আহ্বান জানিয়েছে।
জবাবে বাসিন্দারা পুলিশের গাড়ি উল্টে দিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মিনিয়া গভর্নরেটের আল হাওয়ারতা গ্রামে একদল বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীদের একটি গাড়ি পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়।

বিক্ষোভে সংহতি জানাতে স্থানীয়দের রাস্তায় নেমে আসায় গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কায়রোতে কারফিউ জারি করেছে পুলিশ। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুরো দেশজুড়ে দুই শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ জনকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রসিকিউশনে হাজির করা হয়েছে।
গতকাল জাতিসংঘ মিশরের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, জনগণকে নিজের মত প্রকাশের অনুমতি দিতে হবে এবং সরকারকে অবশ্যই তা শুনতে হবে।
মিশরের ৬০ হাজার থেকে এক লাখ রাজনৈতিক বন্দীদের ওপর আন্তর্জাতিক নীরবতা দমন নীতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এক আদেশ ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, আমরা যে দেশের কথাই বলি না কেন, জনসাধারণের মত প্রকাশ বা রাজনৈতিক মতাদর্শকে দমিয়ে রাখার অধিকার কোনো সরকারেরই থাকা উচিত নয়।