মানুষ সচেতন থাকায় জানাজায় লোক ‘কম’ হয়েছে, বললেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক, জানাজায় অংশ নেওয়াদের একাংশ (ডানে)

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউনের মধ্যেও খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটেছে। তবে এর চেয়েও নয়গুন বেশি লোক উপস্থিত হতে পারতো উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক দাবি করে বলেন, মানুষ সচেতন থাকার কারণেই  উপস্থিতি এত কম হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন দাবি করেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বেড়তলা এলাকার জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা মাঠে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ও লকডাউন ভেঙে লাখো মানুষ উপস্থিত হন।

মুফতি মাহফুজুল হক বলেন, মাওলানা আনসারী সাহেব দেশের অন্যতম জনপ্রিয় আলেম। সে কারণেই করোনাভাইরাসের আতঙ্কও মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। লক্ষাধিক মানুষ নামাজের জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন। তারপরও লকডাউনের কারণে দশ ভাগের একভাগ মানুষও উপস্থিত হতে পারেননি। সচেতনতার কারণেই এমনটা হয়েছে।

তিনি বলেন, জানাজায় যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই স্থানীয় কিংবা কাছাকাছি এলাকায় থাকেন। দূরের মানুষ খুব কম এসেছেন। আর দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা থেকেই ঢাকা থেকে আমরা কিছু সংখ্যক মানুষ গিয়েছি। আরো অনেকেই যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তাদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে এবং যার-যার অবস্থান থেকে দোয়া করতে বলা হয়েছে।

maolana zubaer ansari janaja home
মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম

এর আগে সকালে লকডাউন ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই জানাজায় অংশ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে ও পায়ে হেঁটে এবং অন্যান্য উপায়ে মানুষ আসেন। প্রত্যাশার চেয়ে মানুষ এত বেশি হয় যে, মাদরাসা মাঠে জায়গা না হওয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্তত দুই কিলোমিটার পর্যন্ত  জানাজায় অংশ নেয় মানুষ। জানাজা শেষে দেশের প্রখ্যাত এ আলেমের লাশ মাদরাসা প্রাঙ্গণেই দাফন করা হয়।

maolana zubaer ansari janaja inner
মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন দেশবরেণ্য এ মুফাসসিরে কোরআন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

তিনি দীর্ঘ তিন যুগের বেশি সময় ধরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন। আকর্ষণীয় কোরআন তেলাওয়াত ও তাফসির শোনার জন্য তার ওয়াজে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি থাকতো।