হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ: বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তি কি বাতিল হবে?
৫৮ লাখ ফোনের বিপরীতে নমুনা টেস্ট হয়েছে মাত্র পৌনে দুই লাখ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে মরণব্যাধী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। তবে সেই তুলনায় এখনো পর্যাপ্ত সংখ্যক করোনা টেস্ট করা হচ্ছে না। ফলে প্রকৃত রোগীর সংখ্যা ঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। এতে করে দিনকে দিন ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৮ লাখ ১২ হাজার ৪৭৩টি ফোন কল গ্রহণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা টেস্ট করা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৮টি। অন্যদিকে, গত একদিনের ব্যবধানে ফোন এসেছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৩টি। যার মধ্যে ৮ হাজার ১১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
তবে দেশে ধীরে ধীরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এবং পিসিআর ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে মোট ৪২টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ। ফলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নমুনা টেস্ট করা হয়েছে গত দিনে।
সংখ্যাটা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, শিগগিরই দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১০-১৫ হাজারে উন্নতি করা হবে। এর মাধ্যমে প্রকৃত রোগীর সংখ্যা বের করতে পারলে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ায় গত দুই সপ্তাহে করোনা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন, ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮ জন, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন, ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, ১১ মে ১০৩৪ জন, ১২ মে ৯৬৯, ১৩ মে ১১৬২ জন, ১৪ মে ১০৪১ জন, ১৫ মে ১২০২ জন, ১৬ মে ৯৩০ জন এবং ১৭ মে সর্বোচ্চ এক হাজার ২৭৩ জনের দেহে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্ত হয়।
এদিকে গত একদিনে শনাক্তকৃত রোগীসহ এখন পর্যন্ত মোট কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২২ হাজার ২৬৮ জন। এ ছাড়া এ সময়ে আরো ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩২৮ জন।
গত গত একদিনে দেশে আরো ২৫৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৪ হাজার ৩৭৩ জন রোগী সুস্থ হলেন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে ১৮ মার্চ।